অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে নির্যাতনে হত্যার দায়ে ১৩ বছর পর স্বামী আবদুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন এ রায় দেন। এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় প্রদানকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডোগা গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে আবদুল কাদের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতেন। বিয়ের সময় দাবি করা ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ঝর্ণার পরিবার ২০ হাজার টাকা দেয়। বাকি ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করা হয়।
আদালত সূত্র আরও জানায়, ২০০৯ সালের ২৪ জুন ভোরে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ঝর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঝর্ণার বোন খালেদা বেগম বাদী হয়ে আবদুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। থানা পুলিশের পর সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ঝর্ণার স্বামী আবদুল কাদের, মনোয়ারা বেগম, নাজমা আক্তার ও আবদুছ ছাত্তারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আদালত আবদুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন। এ রায়ে সাংবাদিকদের নিকট সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত।
Leave a Reply